NEWS AND FEEDS



Obama team slams Romney

Barack Obama's campaign has fired off a withering attack on Mitt Romney, branding the US president's likely election foe as a corporate raider who made money "hand over fist" by destroying jobs.
The Obama campaign's intervention Friday whipped up a new storm around Romney, who has been battered by criticism from his Republican rivals over his 15-year role at equity firm Bain Capital and his claims to have created 100,000 jobs.
The Chicago-based team's decision to enter the fray added to the impression that an important moment of the 2012 campaign could be at hand, with Romney battling to shore up the central rationale of his presidential run.
Obama strategist Stephanie Cutter accused Romney of taking advantage of an "uneven playing field" by using the cash of rich investors to take over failing firms, strip them down and fire workers during his time at the private equity firm.
"Our economic crisis and endemic income inequality were caused in large part by a few who put profits over people," Cutter wrote.
Cutter accused Romney of closing more than 1,000 industrial plants, stores and offices, cutting employee wages and benefits and pensions and outsourcing American jobs to other countries while making hundreds of millions of dollars.
Cutter also rejected Romney's claims that Obama was waging war on capitalism.
Romney is tipped to win next week's South Carolina primary after triumphs in Iowa and New Hampshire nominating contests.
The South Carolina primary is seen as a last chance for more conservative candidates Newt Gingrich, former senator Rick Santorum and Texas Governor Rick Perry to slow Romney's march to the nomination.
An American Research Group poll among likely Republican voters in South Carolina Friday showed the former Massachusetts governor leading the field, with 29 percent, ahead of Gingrich on 25 percent and libertarian favorite Ron Paul on 20 percent.


China, India to resume border talks

A long-delayed round of sensitive border talks between Chinese and Indian diplomats will take place in India from Sunday to Tuesday, the foreign ministry in Beijing said.
Chinese State Councilor Dai Bingguo and Indian National Security Adviser Shiv Shankar Menon will attend the 15th meeting between special representatives on Sino-Indian border issues, the ministry said on its website.
China and India share a 2,000-kilometre border which has never been formally delimited.
The talks were cancelled in November after reports that Beijing objected to a scheduled speech in New Delhi by Tibetan spiritual leader the Dalai Lama, who China's one-party Communist government labels a separatist.


বিনোদন সারাদিন

বাংলাদেশের চলচ্চিত্রে গাইলেন মাইকেল জ্যাকসনের বোন

বাংলাদেশের চলচ্চিত্রে গাইলেন মাইকেল জ্যাকসনের বোন

বিনোদন ডেস্ক
বাংলাদেশের চলচ্চিত্রে গান গাইলেন বিশ্ব বিখ্যাত পপসম্রাট মাইকেল জ্যাকসনের বড় বোন লাটয়া জ্যাকসন। গানটি থাকছে স্বপন আহমেদ পরিচালিত লাল টিপ চলচ্চিত্রে। লাটয়া গানটি গেয়েছেন ফরাসি ভাষায়। একজন মেয়ের প্যারিসের প্রতি ভালোবাসার গল্প নিয়ে তৈরি হয়েছে গানটি। ‘ইয়া কমো অর্জুদোয় দুপি টুজুর লে দিল দু’ পাড়ি, আভন্দ দু’ লামুর প্যারি জো তেম’- এমন কথায় সাজানো হয়েছে গানটি। বাংলায় যার অর্থ দাঁড়ায় ‘সেই কবে থেকে আজ অবধি প্যারিসের মেয়েরা ভালোবাসতে জানে, প্যারিস; আই লাভ ইউ’। গানটির কথা লিখেছেন ফরাসি গীতিকার রোলান্ড লিওনার্ড, সুর করেছেন পিয়ার ফোর্টে, সঙ্গীত পরিচালনায় রোলান্ড অডফ্রয়। গানটি স্পন্সর করেছেন মুল্যারুজ। তিন মিনিটের গানটির সাথে পর্দায় ঠোঁট মেলাবেন কুসুম শিকদার। গানটির দৃশ্য ধারণ করা হয়েছে আইফেল টাওয়ার, সরবন ইউনির্ভাসিটি, লুব মিউজিয়ামসহ প্যারিসের অনেক দর্শনীয় স'ানে।
চলচ্চিত্রটির পরিচালক স্বপন আহমেদ বলেন, ‘মাইকেল জ্যাকসন, লাটয়া জ্যাকসন, জেনেথ জ্যাকসন তিন ভাই-বোনের গানই আমার ভীষণ পছন্দ। সেই লাটয়া জ্যাকসন আমার প্রথম চলচ্চিত্রেই গেয়েছেন এটা আমার জন্য অনেক আনন্দের! গানটি করার জন্য আমাকে অনেক পরিশ্রম করতে হয়েছে। সবাই গানটি পছন্দ করবেন বলেই আমার বিশ্বাস।’
স্বপন আহমেদ আরো জানান, চলতি বছরের শেষ দিকে বিশ্বের প্রায় ২৫টি দেশে একই সময়ে চলচ্চিত্রটি মুক্তি দেওয়া হবে।

নিরাময়

শীতে সুস' থাকুন

শীতে সুস' থাকুন

ডা: ওয়ানাইজা
আবহাওয়া ও ঋতু পরিবর্তনের সময় বিভিন্ন ধরনের স্বাস'্য সমস্যা দেখা যায়। পরিবেশের তাপমাত্রা কম, আর্দ্রতা বেশি, ধুলোবালু, ধোঁয়া, সুগন্ধি, ফুলের রেণু, তীব্র গন্ধ, মোল্ড ইত্যাদির কারণে শীতে বিভিন্ন সমস্যা দেখা দেয়। বিশেষ করে শিশু ও বয়স্করা ত্বক ও শ্বসনতন্ত্রের বিভিন্ন জটিলতায় ভুগে থাকেন। বছরের এ সময় কী কী রোগবালাই হয় এবং এ থেকে মুক্তির করণীয় দিক সম্পর্কে এখানে আলোচনা করা হলো :
শীতে কিভাবে ত্বক পরিচর্যা করবেন
এ সময়ে বাতাসের আর্দ্রতা কম থাকায় ত্বক থেকে বায়ু পানি শুষে নেয়। আমাদের দেহের বেশির ভাগই হলো পানি এবং এর মধ্যে ত্বক নিজে ধারণ করে ১৫ শতাংশ। ফলে ত্বক থেকে পানি বেরিয়ে গেলে ত্বক হয়ে ওঠে শুষ্ক ও দুর্বল। ত্বকের যেসব গ্রনি' থেকে তেল ও পানি বের হতো তা আগের মতো এর কোনোটাই তৈরি করতে পারে না।
ত্বকে এ সময় তেলের প্রলেপ দিতে হবে। যেমন- অলিভ অয়েল। শুষ্ক ত্বকের জন্য উপকারী হলো ময়েশ্চারাইজার। এটি আসলে তেল ও পানির একটি মিশ্রণ। ত্বক কোমলকারী কিছু পদার্থ এতে থাকে যেমন- পেট্রোলিয়াম, ভেজিটেবল অয়েল, ল্যানোলিন, সিলিকন, লিকুইড প্যারাফিন, গ্লিসারিন ইত্যাদি। মুখে ভালো কোনো কোল্ডক্রিম ব্যবহার করা যেতে পারে।
কিভাবে গ্লিসারিন ব্যবহার করবেন
গোসল থেকে বেরিয়ে প্রথমে টাওয়েল দিয়ে চেপে শরীরের পানিটুকু তুলে নিতে হবে। এরপর পানি ও গ্লিসারিনের মিশ্রণ শরীরে মাখতে হবে। তবে ত্বকের ভাঁজে গ্লিসারিন বা ময়েশ্চারাইজার ব্যবহার করলে ত্বক ভেজা থাকে এবং এখানে ফাঙ্গাসের জন্ম নেয়। ময়েশ্চারাইজার সুগন্ধিযুক্ত না হওয়াই ভালো। কারণ তাতে ত্বকে অ্যালার্জি হতে পারে।
তেল কখন মাখবেন
তেল অবশ্যই শীতকালে গোসলের পরে মাখতে হবে। এ সময় তেল না দিলে ত্বক শুষ্ক হয়ে ফেটে যেতে পারে।
ঠোঁট ও পা ফাটলে কী করবেন
ঠোঁটে ভ্যাসলিন, লিপজেল বা পেট্রোলিয়াম জেলি ব্যবহার করা উচিত। জিভ দিয়ে ঠোঁট ভেজানো কখনোই উচিত নয়। এতে ঠোঁট ফাটা আরো বেড়ে যেতে পারে। পা ফাটলে এক্রোফ্লাভিন দ্রবণে পা দুটো কিছুক্ষণ ভিজিয়ে রেখে তারপর তুলে নিতে হয়। পা শুকিয়ে যাওয়া মাত্র ভ্যাসলিন মেখে নিন। এ সময় পায়ে হাঁটা অবশ্যই বন্ধ রাখতে হবে।
শীতে ত্বকের আরেকটি যে রোগ বাড়ে তাকে ইকথায়োসিস ভালগ্যারিস বলে। এটি একটি জন্মগত রোগ। আক্রান্তের পিতামাতার অ্যালার্জিজনিত রোগ যেমন এটোপিক ডার্মাটাইটিস, হাঁপানি বা নাক দিয়ে পানি পড়ার মতো সমস্যা থাকে বলেই পরবর্তী প্রজন্ম এ রোগে ভুগতে পারে। এদের ত্বক থাকে শুষ্ক, ফাটা ফাটা এবং গুঁড়ি গুঁড়ি আঁশ উঠতে থাকে। হাঁটুর নিচ থেকে পায়ের গোড়ালি পর্যন্ত, বাহু এবং দেহের পেছনের অংশে ত্বকের এ সমস্যা হয়। আলফা হাইড্রক্সি অ্যাসিড ব্যবহারে খুব ভালো ফল পাওয়া যায়। গ্লিসারিনের সাথে পানি মিশিয়েও ব্যবহার করা যায়।
নাক, কান ও গলার সমস্যা
ঘন ঘন সর্দি-কাশি হওয়া, নাকে অ্যালার্জি ও ইনফেকশন, কাশি এ সময়ে শ্বাসতন্ত্রের অন্যতম সমস্যা। নাকের অ্যালার্জি থেকে দীর্ঘমেয়াদি সাইনোসাইটিস রোগ হয়ে থাকে। এসব রোগীর নাক বন্ধ থাকে, নাক দিয়ে সর্দি ঝরে এবং হাঁচি অনেক বেশি হয়। এটি তীব্র আকার ধারণ করলে রোগী নাকে কোনো গন্ধ পান না এবং মাথা ভার ভার থাকে। এসব সমস্যার কারণে জ্বর জ্বর ভাব থাকা বা প্রচণ্ড জ্বর থাকাও অস্বাভাবিক নয়। শীতে শিশুদের টনসিল ও এডিনয়েডের সমস্যা থাকলে তা বেড়ে যায়। এ থেকে গলা ব্যথা, জ্বর ও ঢোক গিলতে অসুবিধা হয়ে থাকে।
যাদের এ সমস্যা হয় তাদের প্রথমেই এটি নিয়ন্ত্রণে রাখা উচিত। ধুলোবালু, ঠাণ্ডা পরিহার করতে হয়। নাকের সমস্যা সমাধানের জন্য নাকে স্টেরয়েড সেপ্র ব্যবহার করা যেতে পারে। ইনফেকশন হলে চিকিৎসকের পরামর্শে অ্যান্টিবায়োটিক খেতে হবে। একটি কথা মনে রাখতে হবে, যাদের নাকের হাড় বাঁকা আছে; তারা দীর্ঘমেয়াদি সাইনোসাইটিস ও নাকের অ্যালার্জি রোগে ভুগে থাকেন। স্বাভাবিক চিকিৎসায় এর নিরাময় না হলে শিশুদের ক্ষেত্রে ছয়-সাত বছর পর নাকের হাড় সোজা করার অপারেশন সেপ্টোপ্লাস্টি করিয়ে নিতে হবে। টনসিলে ইনফেকশন থাকলে পর্যাপ্ত পরিমাণ অ্যান্টিবায়োটিক খেতে হবে। সাথে জ্বর ও ব্যথা থাকলে প্যারাসিটামল গ্রুপের ওষুধ খেতে হয়। এ ক্ষেত্রে শিশুরা লবণ-গরম পানি দিয়ে গড়গড়া করতে পারে। ছোটদের গলা ব্যথাকে কখনোই অবহেলা করবেন না। শীতে শিশুদের কানে ইনফেকশন বা ব্যথা অতিপরিচিত একটি সমস্যা। চিকিৎসা না নিলে কানে পুঁজ গড়িয়ে পড়ে সমস্যা আরো প্রকট হয়। কানের পর্দা ফেটে যাওয়ার জন্য এমনটি হয়। কানে পানি জমে গেলে বা গ্লু-ইয়ার হলে শিশু কানে কম শোনে, খিটখিটে মেজাজের ও অমনোযোগী হয়- এ ক্ষেত্রে অতি সত্বর চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে।
খুসখুসে কাশি অনেক সময় হাঁপানির পূর্বাবস'া নির্দেশ করে। এ ক্ষেত্রে চিকিৎসকের পরামর্শে সালবিউটামল ইনহেলার ব্যবহার করা যেতে পারে।
শিশুদের রোগবালাই
শিশুরা শ্বসনতন্ত্রের সংক্রমণেই বেশি ভোগে। যেমন- সর্দি, কাশি, হালকা জ্বর, নাক দিয়ে পানি পড়া ইত্যাদি। শ্বসনতন্ত্রের নিম্নভাগে এক বছরের কম বয়সী শিশুদের যে সমস্যা হয় তা হলো এলভিওলাইটিস। এ রোগ দুই বছর পর্যন্ত চলতে পারে এবং সময়মতো চিকিৎসা না নিলে জটিলতা হিসেবে নিউমোনিয়া এমনকি মৃত্যু পর্যন্ত হতে পারে। এ ছাড়া শিশুদের চামড়ায় স্ক্যাবিস বা খোসপাঁচড়া এবং রোটা ভাইরাসজনিত ডায়রিয়া হয়ে থাকে। এ ডায়রিয়া ইনফেকটেড হলে সিগেলোসিস নামক ডিসেন্ট্রি হয়ে থাকে।
সাধারণত সর্দি, কাশি, জ্বরের জন্য প্যারাসিটামল ও অ্যান্টিহিস্টামিন জাতীয় ওষুধ খেতে দিতে হয়। এ সময়ে শিশুকে প্রচুর তরল যেমন- দুধ ও জুস খাওয়াতে হবে। শিশুর বুকে সরাসরি যেন বাতাস না লাগে, সে দিকে লক্ষ রাখতে হবে। এ ক্ষেত্রে কার্ডিগান সোয়েটার, মাথায় টুপি, মোজা ব্যবহার করা যেতে পারে। সবচেয়ে ভালো হয় শিশু যেন সব সময় একই তাপমাত্রায় থাকে। শিশুর বুকে ইনফেকশন, সর্দি, জ্বর প্রতিরোধের জন্য হামের টিকা খুব কার্যকর। এ ছাড়া হুপিংকফ ও ডিপথেরিয়ার টিকা এবং নিউমোনিয়া ও মেনিনজাইটিস প্রতিরোধের ভ্যাক্সিন দেয়া উচিত। অনেকে মনে করেন ভিটামিন এ ও সি এসব রোগ প্রতিরোধে সাহায্য করে। শিশুর যেসব খাদ্যে অ্যালার্জি আছে তা খাওয়ানো পরিহার করতে হবে।
লেখিকা : সহকারী অধ্যাপিকা, ফার্মাকোলজি অ্যান্ড থেরাপিউটিক্স, ঢাকা ন্যাশনাল মেডিক্যাল কলেজ।


*** ০১ - ০১ - ২০১২  থেকে শুরু হল কলেজ .........


***৩য় পুরস্কার পেল এই ব্লগটি***



ক্ষুদে বিজ্ঞানিদের অংশগ্রহণে উৎসবমুখর পরিবেশে অনুষ্ঠিত হচ্ছে ক্যান্টনমেন্ট পাবলিক স্কুল ও কলেজ, রংপুর-এর বিজ্ঞান মেলা :

  ছোটদের বড় চমকপ্রাথমিকে পাস ৯৭.২৬%, জিপিএ-৫ পেয়েছে ১,০৫,৬৭৩ ইবতেদায়ীতে পাস ৯১.২৮%, জিপিএ-৫ : ২,১৫০

রাজধানীর মনিপুর স্কুলের সোনামণিদের আকাশছোঁয়া উচ্ছ্বাস _যাযাদি
প্রাথমিক ও ইবতেদায়ী শিক্ষা সমাপনী পরীক্ষায় ছোটরা বড় চমক সৃষ্টি করেছে। প্রাথমিকে গড় পাসের হার ৯৭.২৬ এবং ইবতেদায়ীতে গড় পাসের হার ৯১.২৮।
সোমবার সকাল ১০টায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছে আনুষ্ঠানিকভাবে ফল হস্তান্তর করেন প্রাথমিক ও গণশিক্ষামন্ত্রী আফছারুল আমিন। প্রাথমিকে ১ লাখ ৫ হাজার ৬৭৩ এবং ইবতেদায়ীতে ২ হাজার ১৫০ শিক্ষার্থী জিপিএ-৫ পেয়েছে। প্রাথমিকে ছাত্রদের পাসের হার ৯৭.৪৮ এবং ছাত্রীদের পাসের হার ৯৭.০৮।
পাসের হার বিবেচনায় সাত বিভাগের মধ্যে শীর্ষে বরিশাল। এই বিভাগে পাসের হার ৯৯.০৫ শতাংশ। বিদ্যালয়গুলোর মধ্যে সবচেয়ে বেশি পাসের হার পিটিআইসংলগ্ন বিদ্যালয়গুলোতে। এসব বিদ্যালয়ে গড় পাসের হার ৯৯.৮৮ শতাংশ। ইবতেদায়ীতেও পাসের হার বিবেচনায় সাত বিভাগের মধ্যে শীর্ষে বরিশাল।
সারাদেশে মেধা তালিকায় প্রথমস্থান দখল করেছে মনিপুর স্কুল অ্যান্ড কলেজ। দ্বিতীয়স্থানে রয়েছে ভিকারুন নিসা স্কুল অ্যান্ড কলেজ। তৃতীয়স্থানে রয়েছে মতিঝিল আইডিয়াল স্কুল অ্যান্ড কলেজ। এরপর চতুর্থ স্থানে উত্তরা মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজ, পঞ্চম গুলশান আইডিয়াল স্কুল অ্যান্ড কলেজ, ষষ্ঠ মতিঝিল ন্যাশনাল হাইস্কুল, সপ্তম অবস্থানে চট্টগ্রাম বিভাগের কুমিল্লা মডার্ন স্কুল অ্যান্ড কলেজ, অষ্টম অবস্থানে রয়েছে রাজধানীর এ কে উচ্চ বিদ্যালয় অ্যান্ড কলেজ, নবম অবস্থানে মোহাম্মদপুর প্রিপারেটরি স্কুল অ্যান্ড কলেজ এবং দশম হচ্ছে রাজধানীর শামসুল হক খান স্কুল অ্যান্ড কলেজ। এবার প্রথমবারের মতো গ্রেড পদ্ধতিতে ফল প্রকাশ হয়। এই পরীক্ষার ফলের ভিত্তিতে প্রাথমিকের বৃত্তি দেয়া হবে।
২৩ নভেম্বর থেকে ৩০ নভেম্বর পর্যন্ত এ পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। বিদেশের আটটি কেন্দ্রসহ মোট ৬ হাজার ১৭৬টি কেন্দ্রে এই দুই পরীক্ষায় এবার মোট পরীক্ষার্থী ছিল ২৬ লাখ ৩৭ হাজার ২৩৫ জন।
এর আগে ফল গ্রহণ করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, সব ছাত্রছাত্রী
যাতে উন্নত শিক্ষার সমান সুযোগ পায় সে লক্ষ্যে প্রাথমিক ও ইবতেদায়ীর সমাপনী পরীক্ষা চালু করা হয়েছে। প্রাথমিক ও ইবতেদায়ী সমাপনী পরীক্ষা ছাত্রছাত্রীদের জন্য উচ্চশিক্ষার ক্ষেত্র তৈরিতে সহায়ক হবে।
প্রাথমিক ও ইবতেদায়ী পরীক্ষার ফলাফলে সন্তোষ প্রকাশ করে তিনি বলেন, তার সরকারের লক্ষ্য হচ্ছে ছাত্রছাত্রীদের মেধার বিকাশ ঘটানো। ভালো ফলাফলের জন্য লেখাপড়ায় আরো মনোযোগী হতে ছাত্রছাত্রীদের প্রতি আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, আমাদের ছেলে-মেয়েরা মেধাবী এবং নূ্যনতম সুযোগ পেলেই তারা ভালো কিছু করতে পারে। দারিদ্র্যমুক্ত বাংলাদেশ গঠনে শিক্ষাকে প্রধান হাতিয়ার হিসেবে বর্ণনা করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, তার সরকার এ লক্ষ্য অর্জনে অঙ্গীকারাবদ্ধ।
অন্যদের মধ্যে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা প্রতিমন্ত্রী মো. মোতাহার হোসেন, প্রধানমন্ত্রীর প্রেসসচিব আবুল কালাম আজাদ এবং প্রাথমিক ও গণশিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক শ্যামল কান্তি ঘোষ এ সময় উপস্থিত ছিলেন।
তবে এবারের প্রাথমিক সমাপনী পরীক্ষায় ৩৭১ বিদ্যালয় থেকে কেউ পাস করতে পারেনি। যার শিক্ষার্থী সংখ্যা ছিল ৪ হাজার ৯৪০। যদিও পাসের হার রেকর্ড পরিমাণ। এর মধ্যে বেশি ফেল করেছে আনন্দ স্কুলের শিক্ষার্থীরা। ১৭৯টি আনন্দ স্কুল থেকে মোট ৩ হাজার ৪৫৪ জন পরীক্ষায় অংশ নেয়। যাদের একজনও পাস করেনি। সোমবার প্রকাশিত পাসের ফল থেকে জানা গেছে, আনন্দ স্কুলে এবার পাসের হার সবচেয়ে কম। মাত্র ৩০ শতাংশ। ফল থেকে দেখা যায়, সরকারি প্রাথমিকে সাত বিদ্যালয় থেকে কেউ পাস করেনি। এবারের পরীক্ষায় ৩৭ হাজার ১৫৬ বিদ্যালয় থেকে শিক্ষার্থীরা অংশ নেয়। শতকরা হারে শূন্য পাস সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সংখ্যা দশমিক শূন্য দুই। রেজি: বেসরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ২১টি থেকে একজনও পাস করেনি। যার পরীক্ষার্থী ছিল ১৪৭ জন। ১১ হাজার ২৩০ কিন্ডারগার্টেন থেকে পরীক্ষায় অংশ নিলেও ২২ কিন্ডারগার্টেন থেকে কেউ পাস করেনি। এখান থেকে ৮১ জন পরীক্ষা দিয়েছিল।
এনজিও চালিত ১০৪ বিদ্যালয় থেকে ১ হাজার ৫২ জন পরীক্ষায় অংশ নিয়ে সবাই ফেল করেছে। প্রাথমিক সমাপনী পরীক্ষায় ১১ কমিউনিটি প্রাথমিক বিদ্যালয় থেকে একজনও পাস করেনি। আর নন রেজি: বেসরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ২৭টি থেকে যত শিক্ষার্থী অংশ নিয়েছে সবাই ফেল করেছে।
অন্যদিকে ২০১১ সালের প্রাথমিক সমাপনী পরীক্ষায় পাসের হারে ছেলেরা মেয়েদের চেয়ে এগিয়ে। তবে জিপিএ-৫ পেয়েছে বেশি সংখ্যক মেয়ে। অর্থাৎ ছেলেরা পাসের হারে এগিয়ে থাকলেও ভালো ফল করছে েময়েরা।
সোমবার সারাদেশে একযোগে তৃতীয়বারের মতো প্রাথমিক সমাপনী পরীক্ষার ফল প্রকাশিত হয়। ফল বিশ্লেষণ করে দেখা যায়, জাতীয় পর্যায়ে ছেলেদের পাসের হার ৯৭ দশমিক ৪৮ শতাংশ। আর মেয়েদের পাসের হার ৯৭ দশমিক ০৮ শতাংশ। হিসেব মতে, মেয়েদের চেয়ে ছেলেদের পাসের হার দশমিক ৪০ শতাংশ বেশি।
তবে সংখ্যার দিক থেকে ৯ লাখ ৭৫ হাজার ৫২৯ জন ছেলে পাস করেছে। তবে ১১ লাখ ৫০ হাজার ৩৪০ জন মেয়ে এবারের সমাপনীতে পাস করেছে। তবে জিপিএ-৫ এর দিক থেকে মেয়েরা এগিয়ে। ছেলেদের চেয়ে মেয়েরা বেশি সংখ্যক জিপিএ-৫ পেয়েছে। ছেলেরা জিপিএ-৫ পেয়েছে ৪৯ হাজার ১৩৪ জন। আর ৫৬ হাজার ৫৩৯ মেয়ে জিপিএ-৫ পেয়েছে। পরিসংখ্যান মতে, প্রায় সাড়ে ৭ হাজারের বেশি মেয়ে জিপিএ-৫ পেয়েছে।
একইভাবে জিপিএ-৫ এর নিচে কিন্তু জিপিএ-৪ এর উপরে পেয়েছে বেশি সংখ্যক মেয়ে। ২ লাখ ৩৭ হাজার ৬৮০ জন মেয়ে এই গ্রেড পেয়েছে; আর ২ লাখ ৩ হাজার ৭৪০ ছেলে একই গ্রেড পেয়েছে।
নিবন্ধন নিয়ে পরীক্ষায় অংশ নেয়নি এমন ছেলেদের সংখ্যা মেয়েদের চেয়ে বেশি। এবারের পরীক্ষায় ৬৪ হাজার ৭০৩ জন মেয়ে পরীক্ষায় অংশ নেয়নি। আর ৬৬ হাজার ৭১ জন ছেলে পরীক্ষা দিতে আসেনি।
 

দেশসেরা ঢাকার মণিপুর হাইস্কুলের শিক্ষার্থীদের উল্লাস

পাসের হার ৯৭.২৬

প্রাথমিকে ঝরে গেল ২.৬৩ লাখ

প্রাথমিকে পাস ৯৭.২৬ শতাংশ জিপিএ ৫ এক লাখের বেশি; ইবতেদায়িতে পাস ৯১.২৮ শতাংশ জিপিএ ৫ দুই হাজার ১৫০

নিজস্ব প্রতিবেদক
দুই হাজার এগারো সালের প্রাথমিক ও ইবতেদায়ি শিক্ষা সমাপনী পরীক্ষায় পাসের হার ৯৭ শতাংশ এবং জিপিএ ৫ প্রাপ্তির এক লাখের ঘর ছাড়ালেও এ দুই ধারায় ঝরে গেছে দুই লাখ ৬৩ হাজার ২৭৮ শিশু। এর মধ্যে নিবন্ধিত হয়েও সমাপনী পরীক্ষায় অংশ নেয়নি এক লাখ ৭৯ হাজার ৭৬৩ শিশু (প্রাথমিক এক লাখ ৩০ হাজার ৭৭৪ ও ইবতেদায়িতে ৪৮ হাজার ৯৮৯ জন)। আর পরীক্ষায় অংশ নিয়ে উত্তীর্ণ হতে পারেনি ৮৩ হাজার ৫১৫ জন (প্রাথমিক ৫৯ হাজার ৮৭৮ ও ইবতেদায়ি ২৩ হাজার ৬৩৭)। এই বিপুলসংখ্যক শিশুর ভবিষ্যৎ সম্পর্কে সুনির্দিষ্ট কোনো তথ্য নেই প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের কাছে। আগামী বছর এই শিশুরা আবার পরীক্ষায় অংশ নেবে কি না তারও কোনো জবাব নেই প্রাথমিক ও গণশিক্ষামন্ত্রী ডা: আফসারুল আমীনের কাছে। তবে তিনি বলেছেন, পরীক্ষার ফলাফলে উন্নতি হয়েছে। তৃতীয়বারের মতো সমাপনী পরীক্ষায় পাসের গড় হার এবং জিপিএ ভিত্তিতে নতুনভাবে মূল্যায়ন-পদ্ধতি অনুসরণে পরীক্ষারও গুণগত মান বেড়েছে। তার মতে, কোনো প্রকার প্রশিক্ষণ ছাড়াই মূল্যায়ন-পদ্ধতি হিসেবে জিপিএ অনুসরণে কোনো সমস্যা হয়নি। মন্ত্রী ঝরে যাওয়ার হারকে আশঙ্কাজনক মানতে অস্বীকৃতি জানিয়েছেন।
প্রাথমিকের শিক্ষার্থীদের পাসের হার বিগত বছরের চেয়ে এক লাফে ৫ ভাগ বেড়ে ৯৭ শতাংশের ঘর ছাড়িয়ে গেছে। গত বছর ছিল ৯২ শতাংশের বেশি। অপর দিকে দ্বিতীয়বারের মতো ইবতেদায়ির শিক্ষার্থীরা সমাপনী পরীক্ষায় অংশ নিয়ে পাস করেছে ৯১.২৮ শতাংশ। গত বছর পাসের হার ছিল ৮৩ দশমিক ৯৩ শতাংশ। প্রাথমিকে পাস করেছে ২১ লাখ ২৫ হাজার ৮৬৯ জন এবং ইবতেদায়িতে দুই লাখ ৪৮ হাজার ৪৩৪ জন কৃতকার্য হয়েছে।
গতকাল সকালে প্রধানমন্ত্রীর হাতে প্রাথমিক ও ইবতেদায়ি শিক্ষাসমাপনী পরীক্ষার ফল তুলে দেয়ার পর দুপুরে আনুষ্ঠানিকভাবে সংবাদ সম্মেলন করে প্রাথমিক ও গণশিক্ষামন্ত্রী ফল ঘোষণা করেন। সংবাদ সম্মেলনে প্রতিমন্ত্রী মোতাহের হোসেন এবং মন্ত্রণালয়ের সচিব, অতিরিক্ত সচিব ও প্রাথমিক শিক্ষা অধিদফতরের মহাপরিচালক উপসি'ত ছিলেন।
গতকাল দুপুরের পর থেকেই সারা দেশে প্রাথমিক পর্যায়ের শিক্ষার্থীদের কলকাকলিতে মুখরিত হয়ে ওঠে সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান। রাজধানী ও বড় শহরের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোতে নিজস্ব ওয়েবসাইটে ফলাফল পৌঁছে যাওয়ায় সবাই সেখান থেকেই ফল জানতে পেরেছেন। এর পরই রাজধানী ও বড় শহরগুলোতে মিষ্টি কেনার ধুম পড়ে যায়। 

চিরনিদ্রায় শায়িত আব্দুর রাজ্জাক

লাখো মানুষের ভালোবাসায় সিক্ত হয়ে সোমবার বিকালে বনানী কবরস্থানে রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় চিরনিদ্রায় শায়িত হলেন মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম সংগঠক আব্দুর রাজ্জাক _যাযাদি
লাখো মানুষের শ্রদ্ধা আর ভালোবাসায় সিক্ত হয়ে দেশের মাটিতে শায়িত হলেন মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম সংগঠক আব্দুর রাজ্জাক। যে বাংলাদেশের স্বাধীনতার জন্য তার অবদান চির স্মরণীয় হয়ে থাকবে।
শুক্রবার লন্ডনে মারা যাওয়ার পর সোমবার বিকালে ঢাকার বনানী কবরস্থানে রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় সমাহিত করা হয় আওয়ামী লীগ নেতা আব্দুর রাজ্জাককে। ৬৯ বছর বয়সে এই পৃথিবী ছেড়ে চলে গেলেন তিনি, তবে দেশ ও দেশের মানুষের জন্য আরো কিছু করার ইচ্ছার কথা মৃত্যুর আগেও জানিয়ে যান তিনি।
সোমবার সকালে ঢাকা থেকে বীর সেনানির মরদেহ নেয়া হয় তার বাড়ি শরীয়তপুরের ডামুড্যা উপজেলায়, ডামুড্যায় জানাজা ও শ্রদ্ধা জানানোর পর মরদেহ পুনরায় ঢাকায় আনা হয়।
দুপুর আড়াইটায় ডামুড্যা উপজেলা পরিষদের মাঠে জানাজায় লাখো মানুষ অংশ নেন। সকাল পৌনে ১১টায় মরদেহ ডামুড্যায় পৌঁছলে শরীয়তপুর জেলা আওয়ামী লীগ, ডামুড্যা উপজেলা আওয়ামী লীগ, শরীয়তপুর জেলা বিএনপি, মুক্তিযোদ্ধা সংসদসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠন ফুল দিয়ে প্রয়াত নেতার প্রতি শ্রদ্ধা জানায়।
বিকাল ৪টার দিকে বনানী কবরস্থানে জানাজা এবং রাষ্ট্রীয় সালাম জানানোর পর আব্দুর রাজ্জাককে শুইয়ে দেয়া হয় কবরে। তখন সেখানে অশ্রুসিক্ত নয়নে উপস্থিত ছিলেন আমির হোসেন আমু, তোফায়েল আহমেদ, আব্দুল জলিলসহ তার রাজনৈতিক সহযোদ্ধা ও স্বজনরা।
দীর্ঘদিন রোগে ভুগে শুক্রবার লন্ডনে মৃত্যু হয় আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য আব্দুর রাজ্জাকের। তিনি যকৃৎ, বক্ষ ও ফুসফুসের জটিলতায় ভুগছিলেন।
তার মরদেহ রোববার লন্ডন থেকে ঢাকায় আনা হয়। জাতীয় সংসদ ভবন এবং জাতীয় ঈদগাহ ময়দানে দুটি জানাজার পর বিকালে শহীদ মিনারে সর্বস্তরের মানুষ প্রয়াত নেতার প্রতি শ্রদ্ধা জানায়। রাতে রাখা হয় বারডেম হাসপাতালের হিমঘরে।
রোববার আব্দুর রাজ্জাকের প্রতি শ্রদ্ধা জানান রাষ্ট্রপতি মো. জিল্লুর রহমান ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। সংসদ ভবনে জানাজার পর পুলিশের একটি দল মুক্তিযুদ্ধের এই সংগঠকের প্রতি রাষ্ট্রীয় সালাম জানায়।
মরদেহ দেশে আনার আগে শনিবার লন্ডনেও একটি জানাজা হয়েছিল তার। দেশে-বিদেশে শোকের প্রতিটি কর্মসূচিতে ছিল
রাজ্জাক : চিরনিদ্রায়


দলমত নির্বিশেষে সবার সরব উপস্থিতি।
১৯৪২ সালের ২ মে শরীয়তপুরের ডামুড্যা উপজেলার দক্ষিণ ডামুড্যা গ্রামে ইমাম উদ্দিন ও আখফাতুননেসার ঘরে জন্ম নেয়া রাজ্জাকের রাজনীতিতে পদার্পণ ছাত্রজীবনেই।
ডামুড্যা মুসলিম পাইলট হাইস্কুল থেকে '৫৮ সালে মেট্রিক পাস করে ঢাকা কলেজে ভর্তি হন তিনি। ইন্টারমিডিয়েট পাসের পর ভর্তি হন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগে।
'৬২'র শিক্ষা অন্দোলন, চৌষট্টির ছাত্র আন্দোলন, ছেষট্টির ৬ দফা আন্দোলন ও ঊনসত্তরের গণঅভ্যুত্থান ৩০ বছর পেরোনোর আগেই রাজ্জাককে পরিণত করে জাতীয় রাজনীতির গুরুত্বপূর্ণ সংগঠক হিসেবে।
ছাত্রদের মধ্যে জনপ্রিয়তার জন্য ১৯৬৫-৬৭ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ফজলুল হক হল ছাত্র সংসদের সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হন তিনি। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে রাষ্ট্র্রবিজ্ঞানে সম্মানসহ এমএ ডিগ্রি নেয়ার পর এলএলবি ডিগ্রিও নেন তিনি।
দুইবার ছাত্রলীগ সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করার পর '৬৯ সালে আওয়ামী স্বেচ্ছাসেবক বাহিনীর প্রধান হন আব্দুর রাজ্জাক। মুক্তিযুদ্ধের সময় মুজিব বাহিনীর অন্যতম পুরোধাও ছিলেন তিনি।
বাংলাদেশ স্বাধীন হওয়ার পর '৭২ থেকে তিন বছর আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক ছিলেন। বঙ্গবন্ধু বাকশাল গঠন করে রাজ্জাককেই দিয়েছিলেন সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব।
বঙ্গবন্ধু হত্যাকা-ের পর তিন বছর কারাগারে থাকতে হয়েছিল আওয়ামী লীগের এই নেতাকে। তবে পরে সাধারণ সম্পাদক হিসেবে বিরূপ পরিস্থিতিতে দলকে দাঁড় করাতে আত্মনিয়োগ করেন তিনি।
১৯৮১ সালে সম্মেলনে মতানৈক্য নিয়ে আওয়ামী লীগ ছেড়েছিলেন রাজ্জাক। বাকশাল নিয়ে চলতে থাকেন তিনি। '৯০-এর দশকে বাকশাল আওয়ামী লীগে একীভূত হলে দলের সভাপতিম-লীতে স্থান হয় এই নেতার।
তারপর দীর্ঘ দিন দলের নীতি-নির্ধারকের দায়িত্ব পালনের পাশাপাশি শেখ হাসিনার গত সরকারে পানিসম্পদমন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করেন আব্দুর রাজ্জাক। তার সময়েই ভারতের সঙ্গে ঐতিহাসিক গঙ্গার পানি বণ্টন চুক্তি হয়।
১৯৭০ সালের প্রাদেশিক পরিষদের ভোট দিয়ে শুরু হয় আব্দুর রাজ্জাকের নির্বাচনী জয়যাত্রা। এরপর ২০০৮ পর্যন্ত যতবার ভোটের লড়াইয়ে নেমেছিলেন, একবারও তাতে ছেদ পড়েনি।
আওয়ামী লীগের বর্তমান কমিটিতে উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য ছিলেন তিনি। ছিলেন পানিসম্পদ মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি।
'৯০-এর দশকে যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের দাবিতে সূচিত আন্দোলনের সংগঠক এবং গণআদালতের অন্যতম উদ্যোক্তা ছিলেন। বাংলাদেশের শান্তি পরিষদের সভাপতির দায়িত্বও পালন করছিলেন তিনি।
আব্দুর রাজ্জাকের রাজনৈতিক সহকর্মীরা বলেন, ছাত্রনেতা, মুক্তিযুদ্ধের সংগঠক, রাজনৈতিক নেতা, যুদ্ধাপরাধের বিচার দাবির আন্দোলনের সংগঠক, মন্ত্রী_ এসব পরিচয় ছাপিয়ে তার চরিত্রের সবচেয়ে উজ্জ্বল বৈশিষ্ট্য ছিল সবসময় গণমানুষের সঙ্গে থাকা।
দীর্ঘদিনের রাজনৈতিক সহকর্মী আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য তোফায়েল আহমেদ তাই জানান, আব্দুর রাজ্জাকের মতো দক্ষ রাজনৈতিক সংগঠক আর সৃষ্টি হবে না।
১৯৭৩ সালে বিয়ে করেন রাজ্জাক। মৃত্যুর সময় স্ত্রী ফরিদা রাজ্জাক, দুই ছেলে নাহিম রাজ্জাক ও ফাহিম রাজ্জাককে রেখে গেছেন। তার একমাত্র মেয়ে রুম্পা আট বছর বয়সে বস্নাড ক্যান্সারে মারা যায়।

ডামুড্যা জানাজায় লাখো মানুষের ঢল
এদিকে শরীয়তপুর প্রতিনিধি জানান, মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম সংগঠক, শরীয়তপুরের কৃতী সন্তান ও আধুনিক শরীয়তপুরের রূপকার জননেতা আব্দুর রাজ্জাককে শেষ শ্রদ্ধা জানাতে ডামুড্যায় উপস্থিত হয়েছিলেন দলমত নির্বিশেষে সর্বস্তরের মানুষ। জননেতা আব্দুর রাজ্জাকের তৃতীয় জানাজা অনুষ্ঠিত হয় তার নির্বাচনী এলাকা ডামুড্যায়। সকাল থেকেই হাজার হাজার দলীয় নেতাকর্মী, সাধারণ মানুষ, আত্মীয়স্বজনসহ সর্বস্তরের মানুষের ঢল নামতে থাকে মহান মানুষটিকে এক নজর দেখার জন্য।
বেলা ১১টা ২০ মিনিটে ডামুড্যা কলেজ মাঠে প্রবীণ রাজনীতিবিদ আব্দুর রাজ্জাকের মরদেহ নিয়ে বাংলাদেশ বিমানের একটি হেলিকপ্টার অবতরণ করে। কফিনের সাথে ডেপুটি স্পিকার কর্নেল (অব.) শওকত আলী, আওয়ামী লীগ নেতা তোফায়েল আহমেদ, আমির হোসেন আমু, রেলমন্ত্রী সুরঞ্জিত সেনগুপ্ত, এলজিইডি প্রতিমন্ত্রী জাহাঙ্গীর কবির নানক, আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুবুল আলম হানিফ, স্থানীয় সংসদ সদস্য বিএম মোজাম্মেল হকও আসেন। এ সময় উপস্থিত রাজনৈতিক নেতা ও সাধারণ মানুষ কান্নায় ভেঙে পড়েন। পরে তার মরদেহ আত্মীয়স্বজন ও মহিলাদের দেখার জন্য আব্দুর রাজ্জাকের নিজ বাসভবনে নিয়ে যাওয়া হয়।
দুপুর ১টায় তার মরদেহ জানাজার জন্য ডামুড্যা উপজেলা মাঠে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে জোহরের নামাজের পর উপস্থিত আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় নেতারা শোকার্ত নেতাকর্মী ও সাধারণ মানুষের উদ্দেশে বক্তব্য রাখেন। এ সময় আব্দুর রাজ্জাকের বড় ছেলে নাহিম রাজ্জাক তার পিতার জন্য সবার কাছে দোয়া চান এবং ভুলত্রুটির জন্য ক্ষমা প্রার্থনা করেন। বক্তব্যের এক পর্যায়ে আব্দুর রাজ্জাকের স্মৃতি ধরে রাখার জন্য তার বড় ছেলে নাহিম রাজ্জাককে উপনির্বাচনে শরীয়তপুর-৩ আসন থেকে মনোনয়ন দেয়ার দাবি জানান শোকার্ত ডামুড্যাবাসী। পরে দুপুর ২টা ১৫ মিনিটে ডামুড্যা উপজেলা মাঠে স্থানীয় মওলানা আব্দুল হাইয়ের ইমামতিত্বে আব্দুর রাজ্জাকের তৃতীয় জানাজা অনুষ্ঠিত হয়। তার জানাজায় লক্ষাধিক শোকার্ত মানুষ অংশ নেন। কেন্দ্রীয় নেতাদের পাশাপাশি জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আব্দুর রব মুন্সী, সাধারণ সম্পাদক অনল কুমার দে, জেলা বিএনপির সভাপতি জামাল শরীফ হিরু, বিএনপির কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য সাবেক সংসদ সদস্য কেএম হেমায়েত উল্লাহ আওরঙ্গ, বিএনপি নেতা সাবেক সংসদ সদস্য একেএম নাসিরউদ্দীন কালু, সাবেক সংসদ সদস্য সফিকুর রহমান কিরণ, সাবেক ছাত্রলীগ নেতা একেএম এনামুল হক শামীম প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

পাকিস্তানে ‘কল্যাণের সুনামি’ বইয়ে দেয়ার প্রত্যয় ইমরান খানের
মঙ্গলবার, ২৭ ডিসেম্বর ২০১১
মানবজমিন ডেস্ক: পাকিস্তানে ‘কল্যাণের সুনামি’ বইয়ে দেয়ার প্রত্যয় ব্যক্ত করেছেন সাবেক ক্রিকেট কিংবদন্তি এবং রাজনীতিবিদ ইমরান খান। রোববার করাচির বিশাল সমাবেশে ১০০০০০  মানুষের বিপুল জনারণ্যের মাঝে তিনি দেশ থেকে দুর্নীতি দূর করে একটি কল্যাণকামী রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার আহ্বান জানিয়েছেন। ক্ষমতাসীন পিপলস পার্টির শক্ত ঘাঁটি হিসেবে পরিচিত করাচিতে অনুষ্ঠিত রোববারের এ সমাবেশে বিশাল লোকসমাগমকে পাকিস্তানের রাজনীতিতে নতুন মেরুকরণের ইঙ্গিত হিসেবে দেখা হচ্ছে। এএফপি জানিয়েছে, করাচিতে অনুষ্ঠিত সমাবেশের আশপাশের সবগুলো সংযোগ সড়কেই কমপক্ষে ১০ ঘণ্টাব্যাপী অচলাবস্থা সৃষ্টি হয়েছিল।
  পাকিস্তানের সঙ্গে সীমিত সম্পর্ক রাখতে চায় যুক্তরাষ্ট্র
মঙ্গলবার, ২৭ ডিসেম্বর ২০১১
মানবজমিন ডেস্ক: যুক্তরাষ্ট্রের কর্মকর্তারা মনে করছেন পাকিস্তানে ন্যাটো হামলার পর তাদের সঙ্গে ইসলামাবাদের সম্পর্কে মারাত্মকভাবে নেতিবাচক প্রভাব পড়েছে। তারা এখন মনে করছেন নিরাপত্তার অংশীদার পাকিস্তানের সঙ্গে এখন কেবল সীমিত আকারেই এ সম্পর্ক থাকতে পারে। নিউ ইয়র্ক টাইমস রোববার এক রিপোর্টে এ তথ্য জানিয়েছে। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক মার্কিন এবং পাকিস্তানি কর্মকর্তাদের উদ্ধৃতি দিয়ে রিপোর্টে বলা হয়েছে যে, কর্মকর্তারা স্বীকার করছেন পাকিস্তানের সঙ্গে সম্পর্ক খারাপ হওয়ায় সন্ত্রাসীদের বিরুদ্ধে অভিযানের ক্ষেত্রে ব্যাপক নেতিবাচক প্রভাব পড়বে। সমপ্রতি পাকিস্তানে ড্রোন হামলা চালানোর ওপর ব্যাপক নিষেধাজ্ঞা দেয়া হয়েছে। 
আফ্রিকা হতে পারে আল-কায়েদার নতুন ঘাঁটি
মঙ্গলবার, ২৭ ডিসেম্বর ২০১১
মানবজমিন ডেস্ক: পাকিস্তানে একের পর এক শীর্ষস্থানীয় নেতাদের হারিয়ে দুর্বল হয়ে পড়া জঙ্গি সংগঠন আল-কায়েদার নেতারা উত্তর আফ্রিকায় তাদের নতুন আস্তানা গাড়তে পারে বলে ধারণা করছেন পশ্চিমা বিশেষজ্ঞ মহলের কর্মকর্তারা। ব্রিটেনের গার্ডিয়ান পত্রিকা গতকাল এক রিপোর্টে জানিয়েছে, পাকিস্তানের অ্যাবোটাবাদে জঙ্গি সংগঠনটির প্রধান ওসামা বিন লাদেন নিহত হওয়ার পর আল-কায়েদা অনেকটা ক্ষীণ হয়ে পড়েছে। এর সঙ্গে অব্যাহত মার্কিন ড্রোন হামলায় দলটির বহু শীর্ষস্থানীয় নেতা প্রাণ হারিয়েছেন।


তীব্র ঠান্ডায় আক্রান্ত বোরোর চারা

প্রথম আলো ডেস্ক | তারিখ: ২৬-১২-২০১১

‘কোল্ড ইনজুরিতে’ আক্রান্ত বগুড়া সদর উপজেলার দক্ষিণ গোদারপাড়ার একটি বোরো বীজতলা। চারায় জড়িয়ে থ� ‘কোল্ড ইনজুরিতে’ আক্রান্ত বগুড়া সদর উপজেলার দক্ষিণ গোদারপাড়ার একটি বোরো বীজতলা। চারায় জড়িয়ে থাকা শিশির ঝরাচ্ছেন এক কৃষক
ছবি: সোয়েল রানা
টানা কয়েক দিনের শৈত্যপ্রবাহে বগুড়া, ফরিদপুর ও রংপুরের পীরগাছা উপজেলায় বোরো ধানের চারা তীব্র ঠান্ডায় আক্রান্ত (কোল্ড ইনজুরি) হয়ে মরে যাচ্ছে। এ অবস্থায় চলতি মৌসুমে বোরোর আবাদ নিয়ে কৃষকের মধ্যে শঙ্কা বিরাজ করছে।
বগুড়া: ১২ ডিসেম্বর থেকে বগুড়ায় শৈত্যপ্রবাহ চলছে। বিভিন্ন উপজেলার কৃষকদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, শৈত্যপ্রবাহ চলাকালে বপন করা তাঁদের বোরো ধানের অনেক বীজ নষ্ট হয়ে গেছে। এসব বীজে অঙ্কুরোদ্গম হয়নি। আবার চারা গজানোর পর অন্তত ৭০ শতাংশ বীজতলায় চারা হলুদ হয়ে গেছে।
সারিয়াকান্দি উপজেলার শেখাহাতি গ্রামের কৃষক ফসিউদ্দিন মণ্ডল বলেন, এক মাস আগে তিনি দুই বিঘা জমিতে বীজ বপন করেন। কিন্তু তাঁর এক বিঘা বীজতলায় ধানের চারা হলুদ হয়ে গেছে। বীজতলার কোনো কোনো অংশে চারা মরে যাচ্ছে।
গাবতলী উপজেলার উঞ্চুকী গ্রামের কৃষক মামদুর রহমান বলেন, ‘ঠান্ডার মধ্যে বীজতলা তৈরি করে বীজ ফেলেছি। গিয়ে দেখি বীজতলার বেশির ভাগ চারা মরে গেছে। আবার বীজ ফেলতে হবে।’
একই এলাকার কৃষক সিরাজুল ইসলাম বলেন, ‘বাহে ছয় বিঘা জমি লাগান (রোপণ) লাগবে। বিছনের (বীজধানের চারা) যে অবস্থা দেখছি, তাতে মনে হয় অর্ধেক জমিও লাগাতে পারব না। বিছন নিয়ে খুব চিন্তায় আছি বাহে।’
শৈত্যপ্রবাহ চলাকালে বীজতলায় বীজ বপন না করার পরামর্শ দিয়ে বগুড়ার কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তা আবদুল্লাহ আল আমিন বলেন, গাবতলী, কাহালু, শিবগঞ্জ এলাকার কৃষকেরা বাণিজ্যিকভাবে প্রায় ১৫০ হেক্টর জমিতে বোরো বীজ বপন করেছেন।
আবদুল্লাহ আল আমিন বলেন, গত কয়েক দিনের শৈত্যপ্রবাহে এ জেলার অন্তত ৬০ হেক্টরের মতো বীজতলায় চারা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
শৈত্যপ্রবাহ অব্যাহত থাকলে এই জেলার কৃষকদের নতুন করে বীজ কিনে তা বপন করতে হবে বলে তিনি মন্তব্য করেন।
বগুড়া কৃষি সম্প্র্রসারণ অধিদপ্তর সূত্র জানায়, চলতি বোরো মৌসুমে এ জেলায় নয় হাজার ৩৩৫ হেক্টর বীজতলায় বীজ বপনের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়। কিন্তু বীজ বপন করা হয়েছে লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে বেশি মোট নয় হাজার ৫৮০ হেক্টর জমিতে।
ফরিদপুর: মধুুখালী উপজেলার পূর্ব আড়পাড়া গ্রামের অরবিন্দ বিশ্বাস (২৫) বলেন, ‘আমি ২৫ একর জমিতে ধান, দুই একর জমিতে রসুন ও এক একর জমিতে পেঁয়াজের আবাদ করেছি। কিন্তু তীব্র শীত ও কুয়াশার কারণে ৫০ শতাংশ জমির ধানের চারা নষ্ট হয়ে গেছে। এ ছাড়া পেঁয়াজ ও রসুনের অধিকাংশ চারাই খেতের মধ্যে বসে গেছে।’
একই উপজেলার কলইকান্দা গ্রামের কৃষক সঙ্কোচ কুমার বিশ্বাস (৩২) বলেন, ‘দুই একর জমিতে বোরো, পেঁয়াজ ও রসুনের আবাদ করেছি। কিন্তু বোরো ধানের চারা ৫০ শতাংশ হলুদ হয়ে গেছে। ফলে এ বছর ফলন নিয়ে খুব সংকটে পড়তে হবে।’
একই গ্রামের নির্মল কুমার বিশ্বাস (৬৫) বলেন, ‘আমার প্রায় সাড়ে সাত একর জমির বোরো ধানের চারার ৪০ থেকে ৪৫ শতাংশ মরে গেছে।’
জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর সূত্র জানায়, চলতি রবি মৌসুমে ফরিদপুরে ৩৬ হাজার ৭৬৮ হেক্টর জমিতে এক লাখ ৩৯ হাজার ৮০২ মেট্রিক টন বোরো ধান উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর তীব্র ঠান্ডায় আক্রান্ত হয়ে ক্ষতিগ্রস্ত শস্যের হিসাব এখনো নিরূপণ করেনি।
পীরগাছা (রংপুর): রংপুরের পীরগাছা উপজেলা কৃষি সম্প্র্রসারণ কার্যালয়ের সূত্রে জানা গেছে, উপজেলার নয়টি ইউনিয়নে সাড়ে ১৬ হাজার হেক্টর জমিতে বোরো আবাদের জন্য তিন হাজার ৫০০ হেক্টর বীজতলায় বীজ বপন করা হয়েছে।
গত কয়েক দিনের অব্যাহত তীব্র শীত ও ঘন কুয়াশায় উপজেলার কৈকুড়ী, কান্দি ও পীরগাছা সদর ইউনিয়নের বিভিন্ন এলাকায় বোরো ধানের চারা হলুদ বর্ণ ধারণ করে নষ্ট হয়ে যাচ্ছে।
কৃষকেরা বলেন, হাইব্রিড ও বিআর-২৮ ও বিআর-২৯ জাতের ধানের চারা বড় হতে ৩৫ থেকে ৪০ দিন সময় লাগে। এ সময়ের মধ্যে প্রায় ৪০ শতাংশ বীজতলার চারা নষ্ট হওয়ার উপক্রম হয়েছে।
উপজেলার মনিরামপুর গ্রামের কৃষক মুকুল মিয়া, তরিকুল ইসলাম ও জাহাঙ্গীর আলম বলেন, নানা প্রকার ওষুধ প্রয়োগ করেও বীজতলায় সদ্য গজিয়ে ওঠা বোরো চারা রক্ষা করা যাচ্ছে না।

কৃষি বিভাগের পরামর্শ
তীব্র শীতের কবল থেকে বোরো চারা রক্ষায় কৃষকদের পরামর্শ দিয়েছেন ফরিদপুর কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক গোলাম কিবরিয়া।
গতকাল রোববার তিনি প্রথম আলোকে বলেন, প্রতিদিন সকালে রশি টেনে ধানের চারায় আটকে থাকা শিশির ঝরাতে হবে। আক্রান্ত বীজতলায় বিকেলে পানি দিয়ে সকালে তা অপসারণ করতে হবে। এ ছাড়া রাতে পলিথিন দিয়ে বীজতলা ঢেকে রাখতে হবে। পরিমাণমতো ছত্রাকনাশক রাসায়নিক ওষুধ প্রয়োগ করতে হবে। যেসব গাছ মরে গেছে, সেগুলোর জায়গায় নতুন চারা রোপণ করতে হবে।
[প্রতিবেদন তৈরিতে সহায়তা করেছেন নিজস্ব প্রতিবেদক, বগুড়া, ফরিদপুর অফিস ও পীরগাছা (রংপুর) প্রতিনিধি]

ব্র্যাডম্যানকে ছাড়িয়ে গেছেন শচীন

অনলাইন ডেস্ক | তারিখ: ২৬-১২-২০১১

শচীন টেন্ডুলকারের ভক্তরা মোহিত হয়ে অপেক্ষায় রয়েছেন তাঁর শততম আন্তর্জাতিক সেঞ্চুরি নিয়ে, কিন্তু তারা অনেকেই জানে না, একেবারে লোকচক্ষুর অন্তরালে ‘লিটল মাস্টার’ দারুণ একটি রেকর্ডের মালিক হয়েছেন।
এই ক্রিকেট কিংবদন্তি তাঁর ক্যারিয়ারে টেস্ট সেঞ্চুরি করেছেন ৫১টি, ওয়ানডে ৪৮টি। প্রথম শ্রেণীর ঘরোয়া ক্রিকেটে তাঁর সেঞ্চুরির সংখ্যা ২৭টি। সব ধরনের ক্রিকেটে সব মিলিয়ে টেন্ডুলকার শতক হাঁকিয়েছেন ১২৬টি। ক্রিকেটের সর্বকালের সেরা তারকা স্যার ডন ব্র্যাডম্যান—যাঁর সঙ্গে শচীনের তুলনাটা সব সময়ই প্রকাশ্য; সেই ব্র্যাডম্যানের চেয়ে তাঁর সেঞ্চুরির সংখ্যা নয়টি বেশি। সব ধরনের ক্রিকেটে ব্র্যাডম্যানের মোট সেঞ্চুরি ১১৭টি। সর্বকালের সেরা হওয়ার পথে এটি অবশ্যই শচীনের দারুণ এক মাইলফলক।
ব্র্যাডম্যানের সময় অবশ্য ওয়ানডে ক্রিকেট ছিল না। ডনের ১১৭টি শতকের ২৯টি এসেছে ৫২টি টেস্টে। বাকিগুলো এসেছে প্রথম শ্রেণীর ক্রিকেট থেকে। ৩৯ বছর বয়সে ব্র্যাডম্যান ক্রিকেটে তাঁর শততম সেঞ্চুরির মাইলফলক ছুঁয়েছিলেন। আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে শততম সেঞ্চুরির অপেক্ষায় রয়েছেন শচীন টেন্ডুলকার—এ মুহূর্তে তাঁর বয়স ৩৮। সূত্র: টাইমস অব ইন্ডিয়া








বাংলাদেশের পত্রিকা পড়ুন :

1) প্রথম আলো
2) ইত্তেফাক
3) যুগান্তর
4) আমার দেশ
5) নয়া দিগন্ত
6) যায় যায় দিন
7) ইনকিলাব
8) মানবজমিন
9) ভোরের কাগজ
10) কম্পিউটার জগত